খুলনার ডুমুরিয়ায় চিংড়ি চাষীদের জন্য এসেছে এক সুখবর। উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের ৩৬ জন চাষীর হাতে ঘের নিবন্ধন সনদপত্র তুলে দিয়েছে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, কোনো প্রকার ফি ছাড়াই এই সনদপত্র পেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ থেকে গলদা ও বাগদা চিংড়ি প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি দেশে রপ্তানি হয়। এই রপ্তানির পূর্বশর্ত হলো ঘের নিবন্ধন সনদপত্র। নতুন সনদ পাওয়ায় ডুমুরিয়ার চাষীদের জন্য আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ সুগম হলো।
মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র বিতরণ করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান। এ সময় উপজেলা মৎস্য দপ্তরের মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার প্রণব কুমার দাশ ও আশিকুর রহমান এবং ক্ষেত্র সহকারী কে এম মহসিন আলম উপস্থিত ছিলেন।
সনদপত্র পাওয়ার আনন্দ প্রকাশ করে চাষী অর্জুন মন্ডল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম প্রক্রিয়াটি জটিল হবে। কিন্তু মৎস্য অফিস খুব সহজেই কাগজপত্র যাচাই ও ঘের পরিদর্শন শেষে দ্রুত সনদ দিয়েছে।”
গলদা চাষী দীপংকর মন্ডল জানান, “সনদপত্র দেওয়া ছাড়াও মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা সর্বদা আন্তরিক। কোনো সমস্যা জানালে সরেজমিনে এসে পরামর্শ দেন। তাদের হাসিমুখে সেবা পাওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।”
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান বলেন, চাষীদের মাঝে একসাথে এতগুলো নিবন্ধন সনদ বিতরণ করা আমাদের জন্য আনন্দের। উপজেলা প্রশাসন এক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তা করেছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান স্যার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। গত ৮-১০ বছরে এত সংখ্যক আবেদন একসাথে পাওয়া যায়নি। স্বল্প জনবল সত্ত্বেও চাষীদের দ্রুত সেবা দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ডুমুরিয়ার মৎস্য চাষীদের কল্যাণে আমাদের দপ্তর সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় চাষীরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ শুধু রপ্তানির পথ উন্মুক্ত করেনি, বরং সরকারি সেবার প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় করেছে। ফলে ডুমুরিয়ায় চিংড়ি চাষে নতুন গতি আসবে বলে আশা করছেন তারা।
এফপি/রাজ