চিরিরবন্দর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে এখন আমন ধানের চারা রোপণের ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, কেউবা জমিতে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে চারা রোপণ করছেন। পুরো উপজেলার কৃষি মাঠে কৃষক ও শ্রমিকদের চারা রোপণের একই দৃশ্য। গত কয়েক দিনের কাঙ্খিত বৃষ্টি কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের ব্যস্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত ২-৩ সপ্তাহ ধরে আমন ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। আর এই চারা রোপণ কাজ চলবে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত, এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকেরা। সরজমিনে উপজেলার সাইতাড়া, সাতনালা, নশরতপুর, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, আব্দুলপুর, অমরপুর, পূনট্রিসহ ১২টি ইউনিয়নে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা। কৃষকরা জানান, বৃষ্টির পানিতে আমন ধানের চাষ ভালো হয়। আমনে সেচ খরচ সাধারণত কম লাগে। ফলে অল্প খরচে বেশি লাভবান হন কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ৭৬২ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন, হাশিমপুর গ্রামের অহিদুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানসহ অনেক কৃষক জানান, এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় দেরিতে ধানের চারা রোপণ কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখন প্রায় প্রতিদিনই কম-বেশি বৃষ্টি হওয়ায় আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে চলতি মৌসুমের আমন ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অর্জন বেশি হতে পারে। আমন ধান রোপণ উপযোগী সব জমিকে চাষের আওতায় আনতে ও আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমন ধানের চারা রোপণে এলএলপি পদ্ধতির উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যা মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম ও প্রচারের মাধ্যমে চিরিরবন্দরের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করছেন।
এফপি/রাজ