অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য জেলার সাথে খুলনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য টায়ারে আগুন লাগিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে তাদের দু’জনকে নগরীর কলেজিয়েট স্কুলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় খুলনা-২ আসানের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল, শেখ সোহেল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম এবং ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দু’ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দু’ আসামি হলেন, নিরালা ছবেদা তলা মোড়ের বাসিন্দা মো: আব্দুল রহিম গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী এবং টুটপাড়া আমান মহল্লার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদের ছেলে জিনার হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: হাসানুর রহমান বলেন, রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের সামনে এ মামলার আসামিরা অন্তবর্তী সরকারকে উৎখাতসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতি এবং শহরের সাথে অন্যান্য জেলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আ’লীগের নেতৃবৃন্দ অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পিকআপ দেখতে পেয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে এ সময়ে একটি টায়ার এবং বোতল থেকে কিছু পেট্রোল উদ্ধার করা হয়। তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করে মামলার ৩, ৪ এবং ৫ নং আসামির নির্দেশে খানজাহান আলী সড়ক খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সামনে অগ্নি সংযোগের জন্য অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় রূপসা ফাড়ির ইনচার্জ আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে (২০ জুলাই) বিকেলে খুলনা-২ আাসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, তার ছোট ভাই শেখ সোহেল, এড. শেখ সাইফুল ইসলাম এবং ২৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডনসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫০ জন ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তাদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এফপি/রাজ