কাহারোলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছে না। এর ফলে পাট চাষীরা তাদের ফসল পাট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। এবছর কাহারোল উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল পাট পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় হতাশায় ভুগছেন।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পাট গাছ গুলো দাঁড়িয়ে আছে জমিতে। আবার অনেক জায়গায় পাট চাষী কৃষকরা তাদের জমি থেকে পাট কাটছে, কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অত্র উপজেলায় চলতি পাট মৌসুমে পাট চাষাবাদে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছেন ৩৬০ হেক্টর জমিতে।
রবিবার উপজেলা কৃষি অফিস জানান, দেশীজাতের পাট কাটা হয়েছে ১০ হেক্টর ও তোষাজাতের পাট কাটা হয়েছে ৮৮ হেক্টর জমির। তোষাজাতের পাট প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধরাণ করা হয়েছে ১১.৯০ বেল এর মতো। প্রতি বেলের ওজন হচ্ছে ১৮১ কেজি আর দেশি প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯.৪ বেল।
উপজেলার তারগাঁও ইউনিয়নের বুলিয়া গ্রামের পাট চাষী কৃষক অতুল চন্দ্র রায় জানান, ৫০ শতক জমিতে পাট চাষ করে এখন মহাবিপদে পড়েছি কারণ পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায়।
একই ইউনিয়নের খন্তা গ্রামের আরেক পাট চাষী কৃষক সবুজ চন্দ্র রায় জানান, পাট কেটে চলতি মৌসুমের আমন ধান লাগাতে হবে সেই জমিতে। কিন্তু পাট জাগ দেওয়া জায়গা না থাকায় জমির এক পাশে পাট জাগ দিচ্ছি শ্যালো মেশিনের পানি সেচ দিয়ে।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, এবার আকাশে পানি কম হওয়ায় পাট জাত দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে পাট চাষীদের। তবে যে খাল বা ডোবায় পানি রয়েছে তাতে কৃষকেরা তাদের পাট জাগ দিতে পাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এফপি/রাজ