শিরোনাম: |
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেছেন, “একটা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি মুক্ত করতে হলে নিজেকে অন্যের উপর থেকে নির্ভরশীলতা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।”
তিনি বলেন, “একজন বিচারক যেমন নাজির বা পেশকারের উপর নির্ভরশীল হবেন না, ঠিক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানও অন্যদের উপর নির্ভরশীল হবেন না। যদি নির্ভরশীল হন তাহলে সেই শক্তিটা থাকবে না, যে শক্তি দিয়ে মন্দ কাজকে বারণ করবেন।”
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক কমিশনার আরও বলেন, “আমরা ভালো কাজের আদেশ দেবো, মন্দ কাজের বাধা দেবো, মন্দকে না বলবো। যেকোনো ধরনের দুর্নীতিকে না বলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে”
তিনি আরও বলেন, “যে টাকা ঘুষ দিয়ে সরকারি চাকরি নিতে হবে, সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা করুন। তাহলে বেতনের চেয়ে ভালো কিছু করতে পারবেন। দুর্নীতি প্রত্যাখ্যানের মানসিকতা স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালতসহ সবখানেই গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।”
গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আকতার হোসেন, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় এবং দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার।
গণশুনানিতে জেলার ২৯টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ শতাধিক অভিযোগ করেন। এর মধ্যে দুদকের তফসিলভুক্ত ৭৪টি অভিযোগের শুনানি করা হবে। কিছু অভিযোগের বিষয়ে দুদক সরাসরি অনুসন্ধান করবে এবং কিছু অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এফপি/অআ