শিরোনাম: |
রাজশাহীর তানোরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক নাঈমা খানের সঙ্গে উপজেলার সুধীজনদের ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভা বয়কট করেছেন স্থানীয় সংবাদিকরা। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সভা শুরু না হওয়া এবং সভাকক্ষে আসন না দেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ২১ সেপ্টেম্বর তানোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাঈমা খান। যোগদানের প্রায় ২২দিন পর তিনি উপজেলার সুধীজনদের ব্যানারে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের ছোট সভাকক্ষে। উক্ত সভায় স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মুঠোফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য পর্যাপ্ত বসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবং পূর্ব নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সভা শুরু না হওয়ায় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় তানোর প্রেসক্লাব, তানোর উপজেলা প্রেসক্লাব এবং তানোর মডেল প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দরা একযোগে সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন এবং অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তাঁরা। তবে, উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী ও শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াও কয়েকজন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন ইউএনও।
তানোর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ সাজু বলেন, আমন্ত্রিত হয়ে এসে এমন অবহেলা ও অসম্মানের শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।
তানোর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুস সবুর জানান, সবসময় উপজেলা প্রশাসনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা না করা হলে ভবিষ্যতে তারা এমন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের ডেকে এনে অপমান করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।
তানোর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বকুল হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত বসার কোনো ব্যবস্থা না করে এবং পূর্ব নির্ধারিত সময়ের পরও সভা শুরু না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমরা সবসময় দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি।
এ বিষয়ে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক নাঈমা খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এফপি/অআ