নওগাঁর মান্দায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি’র) সার্ভেয়ার খলিলুর রহমানের প্রায় একযুগ ধরে একই স্টেশনে কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সার্ভেয়ার খলিল প্রভাব খাঁটিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মান্দা উপজেলা এলজিইডিতে তাবেদারিত্ব করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন একই স্টেশনে কর্মকরত থাকার সুযোগে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা করে ঘুষবাণিজ্যের এক মহা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান।
মৈনম ইউনিয়নের মৈনম ফকির পাড়া গ্রামের আতাউর রহমান জানান, আমার বাড়ির পাশে রাস্তার কাজে সার্ভেয়ার খলিল নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করে গেছে। সিংগী হাট থেকে আন্দারিয়া পাড়া পাকা রাস্তা রিপিয়ারিং কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বরং ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলে যান।
ঠিকাদার মোজাফফর হোসেন জানান, আমি একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। আমার বেশ কিছু কাজের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান। সঠিক কাজ করার পরেও তিনি আমার কাছে (পিসি দাবি করেন)। আমি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করেছি। এরপরও আমাকে হয়রানি করেছেন।
সার্ভেয়ার খলিলের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কিছুই জানেন না স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মান্দা শাখার প্রকৌশলী আবু সায়েদ।
সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা সত্য যে আমি এর আগেও দীর্ঘ সময় মান্দায় কাজ করেছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে এগুলোর সাথে আমি সম্পৃক্ত নয় আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য। এটা একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।
মান্দা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন ঠিকাদার বা অন্য কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আর সেকারণে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে (এসও) এবং ঠিকাদারের মধ্যে কোন অনৈতিক লেনদেন থাকতে পারে।
এফপি/রাজ