যাদুকাটা নদী পরিদর্শনে এসে নদীর গতিপথে বাঁধা সৃষ্টি করে মৎস্য আহরণ কারার দায়ে পুলিশকে ৫ জনকে আটক করার নির্দেশনা দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
এ সময় পরে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাদাঘাট ইউনিয়নের পাতারগাও গ্রামরে শুক্কুর আলীর ছেলে পাঠান মিয়া (৩৪), কদ্দুস মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (২৫), হাসেন আলীর ছেলে আলীনুর (২৭), আসন আলীর ছেলে নুর আহমদ ও লোকমান মিয়ার ছেলে জেলে উজ্জ্বল মিয়া (১৯) আটক করেন।
শনিবার(০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় প্রকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্য ভরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটা পরিদর্শন শেষে যাদুকাটা নদী থেকে তাহিরপুর উপজেলায় যাওয়ার পথে লোভার হাওর সংলগ্ন টাকাটুকিয়া গ্রামের পাশে ভরত খাল নামক নদী থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরুখ আলম শান্তনু ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বসিয়ে আটককৃত ৫ জনকে (প্রতি জনকে ৫ মাস করে) কারাদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ।
জানা গেছে,উপজেলা লোভার হাওর সংলগ্ন টাকাটুকিয়া গ্রামের পাশে ভরত খাল নামক নদী পথে দীর্ঘদিন ধরে বাশেঁর বেড়া ও জাল দিয়ে মাছ ধরে আসছে একটি চক্র। সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার যাদুকাটা নদী পরিদর্শন শেষ স্পিড বোট যোগে তাহিরপুর সদরে ফেরেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
এসময় তার সাথে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, যুগ্ম সচিব যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিশাখার যুগ্মসচিব শাহীনা ফেরদৌসী, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলী আকবর, সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মামুন হাসান, জেলা প্রশাসক ডাঃ মোঃ ইলিয়াস মিয়া, এডিসি সমর কুমার পাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামসুল করীম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/রাজ