মাদারীপুরের শিবচরের পল্লীবিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের কারণে পকেট খালি হচ্ছে গ্রাহকদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের কারণে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের বেশি সংখ্যকই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। অতিরিক্ত বিল পরিশোধে বিপাকে পড়েছেন পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা।
শিবচর উপজেলার প্রায় সব গ্রাহকদের এমন অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ রয়েছে। আর পকেট শূন্য হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার কারী গ্রাহকদের। এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অতিরিক্ত বিলের টাকাগুলো কোথায় বা কাদের পকেটে যাচ্ছে প্রশ্ন বিদ্যুতের গ্রাহকদের।
এদের মধ্যে উপজেলার মাদবরেরচর, চর জানাজা, বন্দর খোলা, সন্যাসীরচর কাদির পুর, কাঁঠাল বাড়িসহ প্রায় সকল ইউনিয়নের গ্রাহকদেরই অতিরিক্ত বিলের সমস্যাটা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসের তুলনায় এই মাসে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিল করার হয়েছে, যদিও পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ গতমাসে মত স্বাভাবিক ছিল। অথচ পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রায় একই রকম থাকার পরও কেন এত অতিরিক্ত বিল করার হয়। জুন -জুলাই সহ মাঝে মাঝই এমন অতিরিক্ত বিল করে পল্লী বিদ্যুত অফিস।
আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, মিটার পরিদর্শক মিটার না দেখেই অনুমানিক বিল করে নেন।
হাফেজ শাহীন সরদার বলেন, আমি একজন হাফেজ মানুষ ছোট্ট একটি ব্যবসা পরিচালনা করি কোন মতে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছি আমার প্রতি মাসে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা বিল আসতো কিন্তু গত মাসে প্রায় ৪৩০০ টাকা বিল আসে। আমি অবাক হয়ে যাই এত অস্বাভাবিক পল্লী বিদ্যুতের বিল কিভাবে আসলো। এটার কারণ কি? সেটা আমরা জানি না। আমি এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
পল্লী বিদ্যুত গ্রাহক শাজাহান হাওলাদার বলেন, আমার সাধারণত ৮০০–৯০০ টাকা মাসে বিল আসে। কিন্তু এই মাসে এসেছে প্রায় ১৮০০ টাকা। কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার গত কয়েক মাসের তুলনায় এক ধাপেয় ব্যবহার হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ শিবচর জোনাল অফিস,ডি.জি.এম অভিলাষ চন্দ্র পালের কাছে অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত বিল আসার বিষয়টি জানতে পারি কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা বা বিলিং সফটওয়্যারে ত্রুটির কারণে কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। অথবা মাঠ পর্যায় কর্মীদের লেখার ভুল হতে পারে। এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের দাবি অনতিবিলম্বে সঠিক মিটার রিডিং ও প্রয়োজনীয় সমাধান করে অতিরিক্ত বিলের সমাধান করবে পল্লী বিদ্যুৎ, যদি না করে আমরা কোন বিল পরিশোধ করবো না বলেও হুঁশিয়ারি দেন পল্লী বিদ্যুতের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
এফপি/রাজ