রাজবাড়ীর পাংশায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অজুহাতে ফজলু প্রামাণিক (৪৮) নামে এক শিক্ষকে স্কুল কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে পাংশা মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের নেই কোনো অভিযোগ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্কুলের শিক্ষার্থী সহ কয়েকশত স্থানীয় জনতা ফজলু প্রামাণিকের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এবং বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলু প্রামাণিকের ব্যবহৃত মটরসাইকেল (Honda CB Trigger) ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ফজলু প্রামাণিক মৌরাট ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান এর ছেলে এবং বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (১১ আগস্ট) বিকালে বাগদুলী বাজার সংলগ্ন ইসলামি বাংক শাখার বিল্ডিংয়ে অবস্থিত ফজলু প্রামাণিক এর কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের জড়ান ফজলু প্রামানিক। সেসময় এ ঘটনা দেখে ফেলেন স্কুলের অন্য এক ছাত্র। পরে সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ স্থানীয়দের জানালে বুধবার বিকালে স্থানীয়রা সহ শিক্ষার্থীরা স্কুল ছুটির পরে ফজলু প্রামাণিককে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার বিচারের দাবী করে।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার বলেন- এমন কোনো ঘটনা আমাদের মেয়ের সাথে ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, আমরা ২০ জন মতো স্যারের কাছে কোচিং করি। স্যার কখনো আমার সাথে খারাপ কিছু করেনি বা বলেনি।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা সংবাদ পাই যে বাগদুলী স্কুলে ফজলু প্রামাণিক নামে একটি শিক্ষককে নিয়ে প্রোপাগান্ডা চলছে। সেখানে অনেক লোক জড় হয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তবে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফপি/রাজ