গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাত্র একদিনে পৃথক তিনটি ঘটনায় দুই শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ জুন) উপজেলার সর্বানন্দ, রামজীবন ও দহবন্দ ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু, এক কিশোরী ও এক গৃহবধূ।
এদিন বিকেলে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ গ্রামে পুকুরে ডুবে রুকাইয়া খাতুন (৩) ও সুবাইতা খাতুন (৪) নামে মামাতো-ফুপাতো দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নিহত রুকাইয়া খাতুন স্থানীয় শেখ রাব্বিবুলের মেয়ে এবং সুবাইতা খাতুন সাদুল্লাপুর উপজেলার পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের মেয়ে। গর্ভবতী মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সুবাইতা।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায় দুই শিশু। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী শিশু আলো আক্তার পুকুরে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে, একইদিন সকালে রামজীবন ইউনিয়নের পশ্চিম রামজীবন গ্রামে জিলাপি খাওয়া নিয়ে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে খালেদা আক্তার (১৬)। তিনি মো. রেজাউল হকের মেয়ে।
অপরদিকে, সকাল ১০টার দিকে দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপালচরণ গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আনোয়ারা বেগম (৫৫)। তিনি মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী। স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
দুই ঘটনাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, উভয় ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মহত্যার পেছনে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও মানসিক চাপ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
এফপি/রাজ