মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য জড়িত থাকার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে তিনি তার নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেছেন। এই আলোচনা ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্যে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকান সামরিক বাহিনী ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমেরিকান যুদ্ধবিমান, জ্বালানি ভরার বিমান ও বিমানবাহী রণতরী এই অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে। একই সময়ে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিকটবর্তী দেশগুলোতে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানা গেছে।
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ফোনালাপ শেষ করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত সপ্তাহে ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি প্রায় প্রতিদিনই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে জানিয়েছেন, সংঘাতের বিষয়ে তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। তবে, ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, আক্রমণের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি
এদিকে তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে এবং অন্যান্য যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সময়সীমা বাড়িয়েছে। আমেরিকা ইউরোপে প্রায় তিন ডজন জ্বালানিবাহী বিমান পাঠিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ৪০ হাজারেও বেশি সৈন্যকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর মতে, ভিয়েতনামে প্রত্যাশিত বন্দর সফর এড়িয়ে দুটি বিমানবাহী রণতরী এই অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে।
মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ও পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলা
একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিরাপত্তা উদ্বেগ ও ইসরায়েলি হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জেরুজালেম ও তেল আবিবের কনস্যুলার বিভাগ উভয়ই বন্ধ থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের ইসরায়েল থেকে প্রস্থানে সহায়তা করার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
অভ্যন্তরীণ আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ট্রাম্প ও তার দল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যোগদানসহ বেশ কয়েকটি বিকল্প বিবেচনা করছে।
এফপি/এমআই