সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক গোয়াইনঘাট- তোয়াকুল-সালুটিকর রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরুর দীর্ঘদিন থেকে অসম্পূর্ণ অবস্থায় ফেলে রাখার ফলেদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার বিকেলে এলাকার সচেতন নাগরিক মহল ও উপজেলার সকল সামাজিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে উপজেলার সালুটিকর বাজারস্থ সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে গোয়াইনঘাট পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক লুৎফুর রহমান ও মাষ্টার শামসুজ্জামানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতাধীন সালুটিকর-তোয়াকুল -বঙ্গবীর-গোয়াইনঘাট রোডের কাজ শুরুর প্রায় কয়েক বছর হয়ে গেছে। কিন্তু সন্তোষ্টজনক কোনো অগ্রগতি নেই। সালুটিকর থেকে বঙ্গবীর ২০ কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাই করতে কত বছর লাগে? প্রায় মাসে কাজ বন্ধ থাকে।
এদিকে, কাজের মান খুবই নিম্নমানের। ৫০ বছর মেয়াদী মানসম্পন্ন টেকসই কাজ হওয়ার কথা। অথচ, কাজের ঢালাই এখনই উঠে যাচ্ছে। একটি বারের জন্যেও প্রকল্প পরিচালক কাজ পরিদর্শনে এখানে আসেন নি। এদিকে, খানা-খন্দে ভরা রয়েছে সড়ক, যার ফলে ভোগান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে স্কুল কলেজ মাদরাসা ছাত্র/ছাত্রী গাড়ি চালক ও যাত্রী সাধারণকে চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে চলছে এই অবর্ণনীয় দূর্ভোগ। মানুষের ধৈর্যের সীমা ভেঙে গেছে। এদিকে রাস্তা ভাংগার অজুহাতে গোয়াইনঘাটের প্রত্যেকটি রাস্তায় যাত্রী ভাড়া কোথায় দ্বিগুণ কোথাও তিনগুণ হারে আদায় করছে গাড়িচালকরা।
বক্তারা প্রকল্প পরিচালক, এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ এবং দিলওয়ার নামে বরিশালের ঠিকাদার এবং সাব ঠিকাদার ফয়সলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এতে বক্তব্য রাখেন- গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসাইন, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খোদেজা রহিম কলি, অধ্যক্ষ কামরুল আহমদ শেরগুল, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ মতিন, রুস্তুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন শিহাব, গোয়াইনঘাট উন্নয়ন ফোরামের সহ-সভাপতি মাষ্টার বুরহান, পশ্চিম জাফলং ইউ/পি সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম প্রমুখ।
এফপি/রাজ