বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডের উইকেট বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। গাঢ় কালো রঙের উইকেট, একফোঁটা ঘাস নেই—এমন দৃশ্য চমকে দিয়েছিল অনেককেই। সে ম্যাচে স্পিনারদের আধিপত্যের দেখা মিলেছিল।
উইন্ডিজের স্পিনাররা ম্যাচের শুরুর দিকেই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। সবাই টার্ন পেয়েছেন নিদেনপক্ষে ৪ ডিগ্রি করে। সে ম্যাচে ২০৭ রান করেও বাংলাদেশ জিতেছে।
তার মূল কারণ স্পিনারদের পারফর্ম্যান্স। রিশাদ হোসেন একাই তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ আর তানভীর ইসলাম শিকার করেছেন একটি করে উইকেট। ফলে বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
সেই জয় বাংলাদেশকে আজ নিয়ে গেছে সুবিধাজনক অবস্থানে। আজ জিতলেই সিরিজ জিতে যাবে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে যা হবে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। সবশেষ সিরিজটা নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে জিতেছিল দল, এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ অধিনায়ক হয়ে আসার পর তো জেতাই ভুলে গিয়েছিল দল, সিরিজ জিতবে কী!
তবে সে খরাটা আজ কেটে যেতে পারে। আজ জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে। এমন ম্যাচে মিরপুরের উইকেটে কি পরিবর্তন আসবে?
সে সম্ভাবনাটা অবশ্য বেশ ক্ষীণ। উইকেটের ভাবনা একপাশে রেখে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতির দিকে তাকালেই বুঝা যায়। দল গতকাল অনুশীলন করেছে ম্যাচের মেজাজে। সেখানে স্পিনাররা আধিপত্য দেখিয়েছেন। পেসারদের খেলেনইনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
স্পিনারদের শুধু খেলেছেন, তাও নয়। বিশেষ ‘মঙ্গুজ’ ব্যাট দিয়ে অনুশীলন করেছেন। সাধারণত বড় শট খেলার প্রস্তুতিতে এই ব্যাট ব্যবহার করা হলেও গতকাল এর ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাটারদের সামনের পায়ে খেলানোর অভ্যাস গড়ে দিতে।
এর আগে স্কোয়াডে ঢুকে গেছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। আগে থেকে রিশাদ হোসেন আর তানভীর ইসলাম থাকার পরেও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ একাদশেও নাসুমকে দেখা যেতে পারে তাসকিন আহমেদের জায়গায়।
এ সব দৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই মনে উইকেট নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার উপায় নেই! প্রথম ওয়ানডের মতো তো অতি অবশ্যই, কে জানে আরও বেশি স্পিনসহায়ক উইকেট হয় কি না!
এফপি/অআ