মৌসুমি পরিবর্তনের এই সময়টায় গলাব্যথা বা ‘সোর থ্রোট’-এর সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢোক গিলতে গেলে গলায় যেন কাঁটার মতো কিছু একটা ফোটে, এমন অস্বস্তি অনেকেই অনুভব করেন। পানিও খেতেও কষ্ট হয়। সাধারণত গার্গল নিলে কিছুটা উপশম দিলেও তা সব সময় কাজ করে না।
এসময় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
মধু
মধু দীর্ঘদিন ধরেই ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ, যা গলার ব্যথার কারণ হওয়া ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি বা ভেষজ চায়ের সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একাধিকবার খেলে আরাম পাওয়া যায়।
দারচিনি
সুগন্ধযুক্ত এই মশলাটির রয়েছে দুর্দান্ত ভেষজ গুণ। বিশেষ করে ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে দারচিনি। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রতিদিনের চায়ে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
রসুন
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুনের ব্যবহার অনেক পুরনো। রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদানটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। গলাব্যথা, সর্দি বা ফ্লু-জনিত উপসর্গ দেখা দিলেই প্রতিদিন একটি কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে, অথবা গরম স্যুপে ফোটানো অবস্থায় খাওয়া ভালো।
হলুদ-দুধ
হলুদে রয়েছে শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান, যা গলার টিস্যুর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সংক্রমণজনিত গলাব্যথায় উপকার মেলে।
এই উপায়টি অনেক পুরনো হলেও এখনও সমান কার্যকর।
গলার সমস্যাকে অবহেলা না করে, প্রাথমিক ধাপেই এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মেনে চললে ওষুধ না খেয়েও স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এফপি/অআ