ইরানে বলপ্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তনের যেকোনো চেষ্টা একটি বড় ধরনের কৌশলগত ভুল হবে বলে সতর্ক করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ম্যাক্রোঁ বলেন, “যারা মনে করেন, বাইরে থেকে বোমা ফেলে কোনো দেশকে জোর করে ‘উদ্ধার’ করা যায়, তারা ইতিহাস থেকে কিছুই শিখেননি। এই ধরনের হস্তক্ষেপ শুধু সংকট আরও বাড়ায়।” তিনি ইরান ও ইসরায়েল উভয় পক্ষকেই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।
এ সময় খবর আসে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মেলন থেকে আগেভাগে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ম্যাক্রোঁ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এখন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। যদি তারা যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে, তাহলে ফ্রান্স তা পূর্ণ সমর্থন জানাবে।”
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ইতোমধ্যেই পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইরানে ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন।
সংঘাতের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে। ম্যাক্রোঁর ভাষ্য মতে, সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব নজর রাখছে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের দিকে। তবে এখন পর্যন্ত তা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য, তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল ও ইরান-দুই পক্ষই তাদের অবস্থান বজায় রেখেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত এবং প্রাণঘাতী হতে পারে।
এফপি/রাজ