জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ভূগর্ভস্থ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাটির নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের মাটির ওপরের অংশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
গত শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বেশকিছু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে অতর্কিত বিমান হামলা চালায়। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে–এমন অভিযোগে হামলাটি চালানো হয়। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলায় নাতাঞ্জ সাইটের ভূগর্ভের ওপরের অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা আণবিক বোমা তৈরির জন্য যে ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া রয়েছে, তার চাইতে অনেক নিচে।
সোমবার (১৬ জুন) আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সংস্থাটির অভূতপূর্ব এক বোর্ড সভা শেষে জানান, শুক্রবারের পর নাতাঞ্জ কেন্দ্রে আর কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়নি। রাফায়েল গ্রোসি বলেন, নাতাঞ্জ প্লান্টের বাইরের রেডিওঅ্যাকটিভ মাত্রা পরিবর্তন হয়নি এবং তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এতে বাইরের কোনো রেডিওলজিক্যাল প্রভাব পড়েনি।
রাফায়েল গ্রোসি আরও বলেন, কেন্দ্রটির ভূগর্ভস্থ কাসকেড হলে যেখানে জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্ট রয়েছে, সেখানে হামলার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে কাসকেড হলের শক্তি কমে যাওয়ায় সেখানে থাকা সেন্ট্রিফিউজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সভায় আইএইএ-তে নিযুক্ত ইরানের দূত রেজা নাজাফি বোর্ড সদস্যদের প্রতি ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।
এফপি/এমআই