দিনাজপুরের কাহারোলে প্রতিষ্ঠিত কোনো বিনোদন কেন্দ্র গড়ে না উঠলেও তা থেকেও থেমে নেই ঈদের ছুটিতে আসা সাধারণ মানুষজন ও দর্শনার্থীদের ভীড় জমাচ্ছে যেসব স্থানগুলোতে।
দেখা গেছে, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ঈদের দিন বিকাল বেলা থেকে সময় কাটতে এসেছেন উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক কান্তজীউর মন্দির, ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ, কান্তনগর পর্যটন কেন্দ্র ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত মিনি শিশুপার্কে শিশু থেকে সব বয়সী মানুষজনেরা ভীড় জমিয়েছে এসব স্থানগুলোতে।
ঈদের দিন বিকাল বেলা থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উল্লিখিত স্থানগুলোতে ঈদের ছুটির ফাঁকে বেড়াতে আসেন দিনাজপুর জেলাসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলা থেকে বিনোদন পিপাষু বা দর্শনার্থীরা তাদের ছেলে-মেয়েসহ পরিবার পরিজনদের নিয়ে এসব স্থানে এসে অলস সময় অতিবাহিত করতে দেখা গেছে।
ঈদের দিন এই সব স্থানে বেড়াতে আসা কয়েকজন বিনোদন পিপাষু বা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এই উপজেলায় তেমন কোনো বড় ধরনের বিনোদন কেন্দ্র না থাকলেও এই উপজেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শন ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দির ও ঐতিহাসিক নয়াবাদ জামে মসজিদ যা আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে শিখানো বা দেখার মতো পৌরণিক কিছু চিত্র রয়েছে ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দিরের গাঁয়ে।
এছাড়াও কান্তনগর এলাকায় রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র, কান্তনগর জাদুঘর ও ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদটিও। (এই দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান) এ দুটি দেখার মতো মন্দির ও মসজিদ বটে। এখানে অনেকেই আসেন কান্তজীউ মন্দির ও মসজিদটিকে একনজর দেখার জন্য।
আবার কেউ কেউ মন্দিরে আসেন পূজা অর্চনা করতে এবং মসজিদে আসেন এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে। তাই আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের দিন এসেছি এইসব ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান দেখার জন্য বা সময় অতিবাহিত করার জন্যেই। এদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত মিনি শিশুপার্কটি ঈদের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত সব বয়সী মানুষ জনদের ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। এই মিনি শিশুপার্কে রয়েছে কোমল-মতি শিশুদের শিশু বা সোনামণিদের-কে দেখাবা শেখানোর জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চিত্র।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বক পাখি, শিয়াল, দোয়েলপাখি, হরিণ, সিংহ, হাতি, বানর, জিরাফ ও শিশুদের খেলাধুলার জন্য দোলনাসহ অন্যান্য পশু-পাখির স্থাপনা সমূহ রয়েছে এই মিনি পার্কে।
এফপি/রাজ