জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, মায়া কান্না করে ক্ষমতায় গিয়ে এলাকার কোনো উন্নয়ন কাজ করেনি বিগত ফ্যাসিস্টবাদ সরকারের এমপি’রা।
এলাকার কথা চিন্তা করে সৎ এবং যোগ্য মানুষকে নেতৃত্বে আনতে হবে এবং ২৪ শে’র গণঅভূত্থানের চেতনাকে লালন-পালন করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একসাথে কাজ করতে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দিনাজপুর জেলার মধ্যে কাহারোল উপজেলাটি সবচেয়ে অবহেলিত। এই উপজেলায় অধিকাংশ মানুষ গরীব। এই উপজেলায় শিক্ষার হার অনেকাংশে কম হওয়ায় তাদের ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না এবং কি তাদের ভাগ্যেও চাকরি মিলছে না। ছেলে-মেয়েদের গরীব অভিভাবকরা পেটের দায়ে ভোর বেলা থেকে দশ-মাইল আমতলা মোড়ে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কোনো সরকারি অফিসে ঘুষ লেনদেন ও প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সাথে সাথে এর প্রতিবাদ করতে হবে এবং আর যদি প্রতিবাদ করতে না পারেন তাহলে আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অবগত করার আহ্বান জানান।
বুধবার (২৮ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র দশ-মাইল আমতলা মোড়ে উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আয়োজনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
এসময় পথ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনসিপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, দলটির মূখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন, কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন, অত্র উপজেলার এনসিপি’র সংগঠক মোঃ কবির আনাম, মিম আক্তার, সাখাওয়াত হোসেন, নকিবুদ্দীন, রাব্বানি, আরমান মিয়া প্রমূখ। এছাড়া তিনি দিনাজপুর জেলার বিরল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ উপজেলা সমূহে পথসভায় অংশগ্রহণ করেন।
এফপি/রাজ