পাবনার ঈশ্বরদী থানার পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকৃত প্রাইভেটকার চালক ও গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মোঃ ইউনুস আলী (৪৫)–কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী মোঃ সিয়াম সরদার (২৩), পিতা-মোঃ মাহাবুল সরদার, পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তিনি একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালান। গত ৪ মে ২০২৫ তারিখ সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি নিজ বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে ঈশ্বরদী থানাধীন নতুনহাট গ্রিনসিটি এলাকায় যান।
দুপুর ১২:৫৬ মিনিটে সিয়ামের ব্যবহৃত ফোন নম্বর থেকে তার মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা জানায়, তারা সিয়াম ও তার গাড়ি আটক করেছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে সেই পরিমাণ কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়। টাকা না দিলে ছেলেকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা ভিকটিমের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের নম্বরেও ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।
ভুক্তভোগী সিয়াম পরে গোপনে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, দুপুর ১১:৩০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর দিয়ার বাঘইল এলাকার গ্যাস পাম্পের সামনে থেকে ৩/৪ জন ব্যক্তি যাত্রী সেজে তার গাড়িতে ওঠে। এরপরই তাকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
ঘটনার পর ভিকটিমের মা ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পাবনার পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), ঈশ্বরদী সার্কেল এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সমন্বয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৫ মে ২০২৫ তারিখ দুপুর ১:০৫ মিনিটে পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে প্রধান আসামি মোঃ ইউনুস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম সিয়াম সরদার, তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল ফোন এবং একটি চাবি উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) নয়ন কুমার সাহা আলামতসহ আসামিকে ঈশ্বরদী থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এফপি/রাজ