সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ফারুকুল ইসলাম (৫০) নামের এক প্রবাসী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় ঐ প্রবাসীর বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। প্রবাসীর স্ত্রী সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়েছে উঠেছে। নিহত ফারুকুল ইসলাম উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামের মৃত- আব্দুল খালেক বেপারী ছেলে।
সোমবার (০৫ মে) দুপুরে নিহতের ভাই ফরহাদুল ইসলাম তার বড় ফারুকুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৩ মে (শনিবার) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
কান্নাভেজা কণ্ঠে প্রবাসীর স্ত্রী মোসা. জোসনা জানান, স্বামীই ছিলেন তার একমাত্র অবলম্বন। রবিবার সকাল ৭টার দিকে সৌদি আরবে অবস্থানকারী তার স্বামীর এক বন্ধুর মাধ্যমে মুঠোফোনে জানতে পারেন, তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। স্বামীর মুখটা শেষবারের মতো দেখতে, সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে অনুরোধ জানান, যেন তার স্বামীর লাশট দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ফারুকুলের মা হোসনে আরা বেগম আহাজারি করে বলেন, আমার ছেলেটা বড়ই ভালা ছিল। মারা যাওয়ার তিন দিন আগে আমাকে ফোনে বললো মা চিন্তা কইরো না। কোরবানি ঈদের আগে আমি বাড়ি চলে আসবো। ছেলেটা আমার আগেই আমার বুকটা খালি কইরা চলে গেল। এই কষ্টের কথা কেমনে বুঝাবো। আমার বুকের মানিক আমারে ফাঁকি দিয়া চলে যাইবো, কখনো ভাবি নাই। তয় ছেলেটার মুখটা শেষবারের মতো একবার দেখতে চাই। ওর লাশটা যদি সরকার একটু আমার সামনে এনে দিত, সেই অপেক্ষায় আছি।
সৌদি আরবে কর্মরত ফারুকুলের সহকর্মীদের বরাত দিয়ে টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি জানান, পরিবারের অভাব ঘোচাতে ২০২৩ সালে অক্টোবরে সৌদি আরব যান ফারুকুল। শনিবার সকালে সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। মরদেহ দেশে আনতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এফপি/রাজ