কেশবপুর পৌরসভা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কম্পিউটার (মনিটর ও সিপিইউ) ক্রয়ে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পৌর প্রশাসকের অধীনে সম্প্রতি পাঁচটি এইচপি ২১ ইঞ্চি মনিটরসহ কম্পিউটার ক্রয় করা হয়েছে। প্রতি মনিটরের দাম এক লাখ ছয় হাজার ১৪৪ টাকা দেখিয়ে মোট পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭২০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। যার প্রকৃত মূল্য মাত্র ২০ হাজার ৯০০ টাকা। হিসেব অনুযায়ী, প্রতিটি মনিটরের প্রকৃত মূল্য থেকে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে, ফলে সরকারি অর্থ থেকে একযোগে চার লাখ ২৬ হাজার ২২০ টাকা লোপাট করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লের আমল থেকেই কেশবপুর পৌরসভায় অনিয়মের মাত্রা অতিক্রম করে। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেশবপুর পৌরসভায় একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্নীতির ধারা থেমে থাকেনি।
পৌরসভায় বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা ও প্রশাসকের আগমনের পূর্বে এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন। কেশবপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। পূর্ববর্তী সময়ের কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তা আমার দায় নয়। তবে তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রেকসোনা খাতুন বলেন, ‘আমি গত ১৭ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর আগের কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ