মোঃ আব্দুল আজিজ (এম এ আজিজ) একজন উচ্চশিক্ষিত দেশবরেণ্য সাংবাদিক, টকশো ব্যক্তিত্ব, কলামিস্ট ও পেশাজীবী নেতা। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কোনো অসৎ বা অন্যায় কাজে কখনও যুক্ত হননি বা কোনো মহল থেকে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেননি।
তিনি একজন দুর্দান্ত সাহসী সাংবাদিক, যিনি গত ২০ বছর, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছর, সকল প্রকার ভয়ভীতি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুঃশাসন, বিএনপি ও এর নেতা-কর্মীদের দমন, পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে টকশোতে প্রতিবাদের ঝড় তুলতেন। এখনও টকশোতে তিনি অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে অকপটে প্রতিরোধী বক্তব্য রেখেই চলছেন।
এম এ আজিজ কৃতিত্বের সাথে বেড়া বি.বি. হাই স্কুল থেকে এসএসসি, বেড়া কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে বিএসসি (অনার্স) এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া তিনি ইরান থেকে ওআইসি আয়োজিত ইলেকট্রনিকস সাংবাদিকতা ও ডেনমার্ক থেকে ডানিডা আয়োজিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং দেশের পিআইবি থেকে বুনিয়াদি সাংবাদিকতা ও পত্রিকা প্রকাশনার ওপর প্রশিক্ষন নিয়েছেন। তিনি ১৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
এম এ আজিজ ১৯৭৪ সাল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদদাতা ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ইংরেজি দৈনিক দি মরনিং পোস্টের (অধুনালুপ্ত) সহ-সম্পাদক হিসাবে নিয়মিত সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে ১৯৮০ সাল থেকে দি বাংলাদেশ অবজারভার (অধুনালুপ্ত) ও দি ডেইলী স্টারসহ পাঁচটি ইংরেজি দৈনিক এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) মানবাধিকার প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি দি ফিন্যান্সিয়াল পোস্ট-এর প্রধান সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সমকাল-এর কলাম লেখক।
এম এ আজিজ ১৯৬৮ সালে সাঁথীয়া থানা ছাত্রলীগের সম্পাদক হওয়ার পর থেকে দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ঐ সময়ে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জামায়াতের ইসলামী ছাত্র সংঘ, আয়ুব খানের এনএসএফ, কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র ইউনিয়ন ও ভাসানীর ন্যাপের ছাত্র সমিতি তৎপর ছিল। পরে তিনি ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এম এ আজিজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (একাংশ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্র রাজনীতির কারণে এক বছর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও পাবনা কারাগারে বন্দী ছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি কয়েকটি জাতীয় সংগঠন ছাড়াও জাতিয়তাবাদী রাজনীতির পক্ষের বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) তিন বার মহাসচিব, এর আগে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্পাদক, উত্তরবঙ্গ সাংবাদিক ফোরাম-এর সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৯৯৯ সালে এম এ আজিজ বিএফইউজের মহাসচিব থাকাকালীন সময়ে 'বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ' গঠন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৭৯ সালে 'জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল' গঠনে সক্রিয় সহযোগিতা করেন এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানে একই বছর জাতিয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি গঠিত হয়।
এম এ আজিজ উন্নতমানের একটি ইংরেজি গ্রামার 'Elemetary English grammar' লিখেছেন। আরও দুইটি বই প্রকাশের অপেক্ষায়।
এফপি/এমআই