পাবনা সুজানগর উপজেলার হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদুল ইসলাম ওরফে মন্টু মাস্টারের বিরুদ্ধে স্কুলের মালামাল চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত শনিবার (১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ছুটির দিনে বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের টিন, জানালা, লোহার রড, দরজা ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকসহ বিভিন্ন মালামাল গোপনে কয়েকটি ভ্যানে করে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক সায়েদুল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আটকে দেন এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের নির্দেশনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয়দের সহায়তায় কিছু চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করেন।
পরদিন, ২ মার্চ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদের স্বাক্ষরিত আদেশে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—নিশিত কুমার বিশ্বাস, শওকত আলী ফকির ও এবিএম রফিকুল হাসান খান।
তদন্ত কমিটি নির্ধারিত তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বীকারোক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকে। তদন্তের ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর জানান, চুরির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সায়েদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সায়েদুল ইসলাম এর আগেও নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় শাস্তিমূলক বদলির সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁরা এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এফপি/রাজ