ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করে জুলাই বিপ্লব আন্দোলনের সমমনা দলগুলো। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, গন-অধিকার পরিষদ কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে খুলনা–বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে তারা অবরোধ শুরু করে। এতে মুহূর্তেই মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে কলেজ মোড় এলাকায় বরিশাল ও খুলনাগামী রুটের দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এসএম বায়জিদ ইবনে আকবর ও সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন কারীদের সাথে কথা বলে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অবরোধকারীরা জানান, ওসমান হাদীর ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
জাতীয় নাগরিগপার্টি এনসিপি এর ঝালকাঠি জেলা সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, ‘হামলাকারিদের গ্রেফতার করা না হলে আগামী কাল বিকাল ৪ টায় ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হবে’। জনগনের দুর্ভোগ বিবেচনা করে আজকের কর্মসূচী সমাপ্ত করা হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির বোন মাহফুজা বলেন, ‘ভারতেরা আমার ভাইকে বাঁচতে দিবে না। আমার ভাই এর উপরে যারাগুলি করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।’
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, শরীফ ওসমান হাদী ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ঝালকাঠি কলেজ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করলে ৫টার দিকে যান চলাচল শুরু করে।
এফপি/জেএস