ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ওপর হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন সংগঠন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ পৌরশহরের বাহিরগোলা মসজিদ মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে মিলিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘হাদির ওপর হামলা কেনো, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই হাসপাতালে, ইন্টেরিম কি করে?’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক সামিউল ইসলাম, জুলাই যোদ্ধা রাশেদুজ্জামান আশিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নুর আলম মিয়া নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির উপজেলা যুগ্ম-সমন্বয়ক আজিজুর রহমান, উপজেলা শিবির সভাপতি সোহান ইসলাম ও পৌর সাংগঠনিক থানা শিবির সভাপতি শাহীন সরকার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ওসমান হাদির ওপর এই হামলা শুধু জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধার ওপর হামলা নয়—এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। (৫ আগস্টের) গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দেশে গুপ্ত হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা ইন্টেরিম সরকারকে দ্রুত এই হামলার বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত। এই হামলার দায় ইন্টেরিম সরকার এড়াতে পারে না। সরকার এখনো ফ্যাসিবাদীদের কারো বিচার কার্যকর করতে পারেনি। হাদির ওপর হামলাকারীদের শুধু বিচার করলেই হবে না, ভবিষ্যতে এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রুখে দিতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এফপি/জেএস