দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীক হাতে মাঠ সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়ে আসা আলহাজ্ব রায়হান উদ্দীনের সক্রিয় ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত মনোনয়ন তার হাতে যায়নি।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ঝিনাইদহ-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন মৎস্যজীবী লীগের সাবেক নেতা নুর আলম বিশ্বাস এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বর্তমানে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য।
এর আগে উচ্চ আদালতের আইনজীবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জমারত আলীর নাম নিয়েও আলোচনা ছিল। তবে তিনিও শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন পাননি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নুর আলম বিশ্বাসকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দল। মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন শৈলকুপা উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব রায়হান উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন তিনি মাঠে কাজ করেছেন এবং সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিয়মিত প্রচারণা চালিয়েছেন। সিদ্ধান্তে সাময়িক ভিন্নমত থাকলেও তিনি দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান এবং চূড়ান্ত প্রার্থীকে আগের মতোই সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরও জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশি হাঁটাচলা করতে পারেন না। এ কারণেই আগেই প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শিহাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে নুর আলম বিশ্বাসের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অতীতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে দায়িত্ব পালন করা এক নেতার ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে প্রার্থী হওয়াকে ঘিরে নানা বিশ্লেষণ ও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে জনমনে।
রাজনৈতিক সূত্র বলছে, জামায়াতের সঙ্গে আসন সমন্বয় হলে ঝিনাইদহ-১ ইসলামী আন্দোলনের ভাগে এলে জামায়াত তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নুর আলম বিশ্বাসকে সমর্থন দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই তিনি মাঠে লড়াইয়ে নামবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন মাঠে তার অবস্থান শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে কি না তা নির্ভর করবে সময়ের ওপর।
এফপি/জেএস