রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে আগামী (২০ ডিসেম্বর) থেকে ট্রেনভাড়া সমন্বয় করা হচ্ছে। পুরোনো ১১টি সেতু উন্নীতকরণ, নতুন সেতু নির্মাণ এবং রক্ষণা বেক্ষণের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ‘পোয়েন্টেজ চার্জ’ আরোপ করে এ ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। রেলওয়ের মহাপরিচালক জানান, গত নয় বছরে পূর্বাঞ্চলে একাধিক নতুন সেতু নির্মিত হয়েছে। এতে রেলপথের দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন হিসাবে ভাড়ায় প্রভাব পড়েছে।
নতুন নিয়মে ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সব সেতুর ক্ষেত্রে—পুরোনো বা নতুন—প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার হিসেবে গণনা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে বিভিন্ন রুটে কাগজে- কলমে দূরত্ব বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮১ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম–সিলেট রুটের নতুন দূরত্ব ধরা হয়েছে ৩২০ কিলোমিটার।
ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে ভাড়া বৃদ্ধি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণিতে ৬৪ টাকা, এসি সিটে ৮০ টাকা, কেবিনে ৯৮ টাকা এবং এসি কেবিনে ১৪৩ টাকা বাড়ছে। বিরতিহীন ট্রেনে শোভন চেয়ার ৪৯ টাকা, প্রথম শ্রেণি ৬৯ টাকা, এসি সিট ৮৮ টাকা, কেবিন ১০৬ টাকা এবং এসি কেবিন ১৫৬ টাকা বাড়বে। মেইল ট্রেনে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা এবং কমিউটার ট্রেনে ২০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আরোপ করা হচ্ছে।
ঢাকা–কক্সবাজার রুটে ভাড়া বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে। রুটটির দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার বাড়িয়ে নতুন হিসাবে ৫৮৬ কিলোমিটার ধরা হয়েছে। এতে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬০ টাকা, প্রথম শ্রেণির ৯২ টাকা, এসি সিটের ১১৫ টাকা, কেবিনের ১৩৬ টাকা এবং এসি কেবিনের ভাড়া ২২৪ টাকা বেড়ে যাবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী এসি কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৪৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ৬৪৪ টাকা।
এ ছাড়া ঢাকা–সিলেট, ঢাকা–ময়মনসিংহ–জামালপুর এবং চট্টগ্রাম–সিলেট রুটেও একই অনুপাতে ভাড়া বাড়বে। এর মধ্যে ঢাকা–সিলেট রুটে এসি কেবিনের ভাড়া সর্বোচ্চ ১২৭ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সামগ্রিকভাবে নতুন সেতু নির্মাণ, পুরোনো সেতুর উন্নয়ন এবং দূরত্ব পুনর্নির্ধারণের ফলে পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব রুটেই ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে।
এফপি/জেএস