শত বছরের দখলীয় পৈত্রিক জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় নুরুল হুদার ছেলে মনজুর আলম, রহমত উল্লাহ, মনছুর আলমসহ বেশ কয়েকজন। এমনকি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বাদী মোম্মেল এর স্ত্রী সন্তানের উপর হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও মনজুর আলম আইন অমান্য করে জমিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি মরিচ্যাচর এলাকায়। এ নিয়ে স্থানীয় মৃত নুরুল আলমের ছেলে মোজাম্মেল বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর নুরুল হুদার ছেলে মনজুর আলম, ও রহমত উল্লাহকে বিবাদী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত কক্সবাজার এমআর মামলা দায়ের করেন যার নং ৮৩০/২০২৫।
এই মামলায় কোন ধরনের ধাঙ্গা হাঙ্গামা যেন না হয় বিজ্ঞ আদালত ১০২৭ নং খতিয়ানের ৩৫৯৭ নং দাগে ৪০ শতক জমিতে ঐদিন ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং সহকারি কমিশনার (ভুমি) রামুকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
এদিকে জমিতে ১৪৪ ধারা জারি হলেও বিবাদী মনজুর আলম ও তার সাঙ্গীয়দের নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর বিকালে ১৪৪ ধারা জারিকৃত স্থানে ঘেরা ও বিভিন্ন সবজির চাষ করার পায়তারা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইউনুস ঘটনাস্থলে গেলে মনজুর আলম ও তার সঙ্গী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী মোজাম্মেল জানান, এই ১০২৭ খতিয়ানের ৩৫৯৭ দাগের ৪০ শতক জমি সেই আমার দাদা থাকাকালিন থেকে শুরু করে আবার বাবা দখলে ছিলেন। এরপর আমি দখলে আছি সব মিলিয়ে শত বছর দখলে আছে আমার। কিছুদিন আগে মনজুর আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চান তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আমার জমিতে তারা হাঙ্গামা করে দখলে নিতে চাইলে আমি আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করি। এখন আমার আদালত ও আইনশৃখলা বাহিনী আমার একমাত্র ভরসা। আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি বলে মনজুর ও তার ভাইয়েরা আমাকে এখন প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
আজকে দুপুরে (১০ ডিসেম্বর ) আমার সন্তান ও স্ত্রীর উপর হামলা করেছে মনজুর আলম তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। দুপুরে পুলিশ থাকাকালিন অবস্থায় মোজাম্মেল এর স্ত্রী হালিমা ও তার সন্তানকে মনজুর আলম হামলা করে বলে জানা যায়। এদিকে বিবাদী পক্ষের মনজুর আলমের সাথে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোঃ ইউনুস জানান, মহামান্য আদালতের নির্দেশমতে বাদী বিবাদী দুইপক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এবং আদালতের আইন মান্য করার জন্য বলা হয়েছে। জানতে পারলাম বিবাদী মনজুর সহ বেশ কয়েকজন ১৪৪ জারিকৃত স্থানে কাজ করছে। খবর পেয়ে গত ৯ ডিসেম্বর ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় তারা কাজ করছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা জমি থেকে পালিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যান। যার কারণে তাদের ধরা সম্ভব হয়নি। যারা আদালতের আইন অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। জমিতে যেন বিবাদী কোন ধরণের কাজ করতে না পারে স্থানীয় গ্রাম র্সদার মোঃ জাহেদ ও মোঃ ইউনুসকে জিম্মায় দিয়ে আসলেও তাদের সাথে আতত করে জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করেছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
এফপি/অ