রংপুরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যার অভিযোগে মামলা; র্যাবের যৌথ অভিযানে এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার।
র্যাব- ১৩'র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খালেকুজ্জামান (৪০) এবং আসামিগণ পরস্পর একই গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। (৩১ অক্টোবর) সকালে ভিকটিমের দাদির কবরের মাটি সরানোর বিষয় নিয়ে আসামিগণের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি ও লোহার রড দ্বারা মাথায় সজোরে আঘাত করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে রংপুর মেডিকেলে হাসপাতালের আইসিইউতে প্রেরণ করেন। পরে (১ নভেম্বর) সকালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন।
ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক হত্যা হওয়ায় এলাকায় ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আসামি গ্রেফতারে সচেষ্ট হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব- ১৩, সদর কোম্পানী, রংপুর এবং র্যাব - ১০, সিপিএসসি, কেরানীগঞ্জ ক্যাম্প চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ০২ নং আসামি রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার কিসামত মেনানগর এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে লেবু মিয়া (৪০) কে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন কোনাখোলা দেয়াসুর মহুয়া নার্সারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এফপি/জেএস