ফেনী পাক-হানাদার মুক্ত দিবস আজ (৬ ডিসেম্বর), ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীকে হটিয়ে ফেনী জেলা স্বাধীন ঘোষণা করা হয়। দিনটিকে স্মরণ করতে ফেনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় ফেনী মুক্ত দিবস।
নানা আনুষ্ঠানিকতা মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এছাড়া শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, জেলা প্রশাসক মনিরা হক, পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম , জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবু নাছের চৌধুরী , জেলা পরিষদ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, ফেনী পৌরসভা, সদর উপজেলা প্রশাসন, আনসার কমান্ডেন্ট, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), গনপূর্ত বিভাগ ফেনী, সড়ক ও জনপথ ফেনী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জেলা প্রাণিসম্পদ ফেনী, ফেনী সরকারি কলেজ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ফেনী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ফেনী, ফেনী জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনী,পরিবেশ অধিদপ্তর ফেনীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে বিভিন্ন সংগঠনের র্যালী প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মনিরা হক'র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবু নাছের চৌধুরী, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মনিরা হক বলেন, (৬ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এদিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীকে পাকহানাদার মুক্ত করেছিলেন। দিনটিকে আমরা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচিতে পালন করেছি। সেদিন ফেনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন সেটিকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছি।
(৬ ডিসেম্বর) কেমন ছিলো সেই দিনের স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠে।
এফপি/জেএস