মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে সরকারি পর্যায়ে ঝুঁকি মোকাবিলার তহবিল থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নারী উদ্যোক্তাসহ সব উদ্যোক্তার জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ব্যবসা পরিচালনা করছেন, তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত ‘ভয়েসেস ফর চেঞ্জ. পুটিং ক্লাইমেট অ্যাকশন, উইমেন এন্ট্রাপ্রেনারস, অ্যান্ড এসএমই ইন বাংলাদেশিজ পাবলিক পলিসি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য নারী উদ্যোক্তাদের দৃশ্যমানতা বাড়ানো। সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসএমই ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়তা দিচ্ছে, তবে সুযোগ এখনও যথেষ্ট নয়। দেশের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থানের বড় উৎস এবং ৫০–৬০ শতাংশ কর্মসংস্থান নারী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিদিনের সমস্যা এবং মৎস্য খাতের জন্য সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। নদী ও সমুদ্রে ইলিশের প্রাপ্যতা কমছে এবং অক্সিজেন ঘাটতি তৈরি হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গবাদিপশুর খাদ্যভ্যাস উন্নয়নের মাধ্যমে মিথেন কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’
সেমিনারে বক্তারা নারীদের কার্যকর অংশগ্রহণ, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের সম্প্রসারণ এবং টেকসই নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
উইমেন এন্ট্রাপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (WEAB)-এর সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মুশফিকুর রহমান, এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড মিস বাইবা জারিনা।