শিক্ষকতার নামে কলঙ্ক, ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর মেসেজ, অভিযুক্ত নজরুলের বিরুদ্ধে ফুঁসছে ক্যাম্পাস।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এমএ খালেক মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মহান পেশাকে কালিমালিপ্ত করার এক চরম ঘটনা সামনে এসেছে। বাংলা বিভাগের শিক্ষক নজরুল ইসলামের (৪৯) বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করা এবং গুরুতর যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের মোবাইলে লাগাতার আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো এবং সরাসরি দেখা হলে অশালীন কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। এক ভুক্তভোগী ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা স্যারকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু তিনি শিক্ষক হয়েও মোবাইল ফোনে নানাভাবে আপত্তিকর মেসেজ দিতেন। রিপ্লাই না করলে সরাসরি নিপীড়নের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন! আমরা তার কঠোরতম শাস্তি চাই।”
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ঘটনা জানাজানি হতেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষমেশ, ১৬ জন শিক্ষার্থীর একজোট হয়ে দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।
এত গুরুতর অভিযোগের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম এক অবিশ্বাস্য অজুহাত দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর মোবাইল ফোনটি হ্যাক হয়ে গিয়েছিল, যে কারণে আপত্তিকর মেসেজ ছাত্রীদের কাছে চলে গিয়েছে। কিন্তু ৪/৫ মাস ধরে কীভাবে একটি ফোন হ্যাক হয়ে থাকে—এই প্রশ্ন করা মাত্রই তিনি ফোনকল কেটে দেন! তাঁর এই সাফাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম হাসির খোরাক।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওলিয়ার রহমান জানান, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে জরুরি সভা শেষে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সদর ইউএনও হোসনে আরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ হাতে আসা মাত্রই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং জেলা শিক্ষা অফিসকেও অবহিত করা হবে।
এফপি/জেএস