রেলের পূর্বাঞ্চলে বিদেশি সরঞ্জাম কেনাকাটায় কয়েকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের অস্বাভাবিক দাপট ও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পরও ভারতসহ তিন দেশের মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠান জোর করে দরপত্র জমা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তর (সিপিএস)- এর এক কর্মকর্তা বুধবার (৩ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইলজাই ইকুইপমেন্ট, লোকোমোটিভ ইলেকট্রনিক্স, এসএম ইঞ্জিন ইকুইপমেন্ট ও ইপিমাচ—এ ছাড়া কোরিয়ার সামায়ন কোম্পানি এবং কানাডার সিমোর ইন্ডাস্ট্রিজ দরপত্র জমা দিতে দপ্তরে আসে।
তিনি বলেন, “দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা সময় পেরিয়ে যাওয়ায় দরপত্র নিতে না চাইলে কয়েকজন ব্যক্তি হুমকি- ধমকি দিয়ে বলেন, ‘দরপত্র না নিলে ডিআইজি নেবে, ডিআইজি না নিলে সচিব নেবে।’ পরে জোর করেই তারা দরপত্র জমা দিয়ে চলে যায়।” অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যক্তি স্থানীয় এক প্রভাবশালী ঠিকাদারের লোক।
দপ্তরের দরপত্র বিক্রয়কারী আয়েশা আক্তার জানান, বিদেশি সরঞ্জাম সরবরাহে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তি ও সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য রেলওয়ে দরপত্র আহ্বান করে। সাতবার সময় বাড়ানোর পর সর্বশেষ (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রতি দরপত্র ২ হাজার টাকা দরে মোট ৯২টি দরপত্র বিক্রি হয়, যার মধ্যে নির্ধারিত সময়ে জমা পড়ে ৫৪টি।
কিন্তু সময়সীমা শেষে ভারতীয় কোম্পানিসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র জোরপূর্বক জমা দেওয়া হলেও নিয়ম অনুযায়ী এসব দরপত্র গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই বলে দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বেলাল হোসেন সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এফপি/জেএস