| শিরোনাম: |

চলতি মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। এমন আভাস দিয়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায়।
উত্তরবঙ্গের দুই জেলা পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। এতে মানুষের দুর্ভোগও বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে।
পঞ্চগড় জেলায় রাত ও দিনে তাপমাত্রা আবারও কমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। আগের দিন ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ২৩ নভেম্বর তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ১২ ডিগ্রিতে। এর পর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫-এর মধ্যেই ওঠানামা করছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছিল ২৮ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তবে দুই দিন ধরে দিনের তাপমাত্রাও কমেছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর হালকা থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে কমে যায় ঠান্ডার অনুভূতি। মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে ঠান্ডা কমলেও বিকেলের পর থেকে আবার শুরু হয় শীতের অনুভূতি।
শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী শীতজনিত কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বেশি বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় থাকছেন অনেক রোগী।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মনোয়ার হোসেন বলেন, এবারও শীতজনিত রোগের একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। আমরা সচেতন হওয়ার পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। এটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সকাল ও বিকেলের পরে ঘন কুয়াশা না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ফলে সূর্যের আলোতেও তেমন একটা উষ্ণতার পরশ পাচ্ছে না জেলার ১৬টি নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের মানুষ। সেই সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, তাপমাত্রা কয়েক দিনের মধ্যে আরও কমে নিম্নগামী হবে। সেই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় কনকনে ঠান্ডা অনুভুত হবে।
এফপি/অ