বিশ্বকাপ শুরু হতে আর সাত মাসও বাকি নেই। জাতীয় দল, খেলোয়াড়, সংশ্লিষ্ট ক্লাব—সবাই এখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আর পরিকল্পনা গোছাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামিও খেলোয়াড়দের ২০২৬ সালের সূচি দিয়ে দিয়েছে। ফলে লিওনেল মেসি এখন ভালো করে জানেন, বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার পথটা কেমন হবে।
সম্ভাব্য ফাইনাল এবং আর্জেন্টিনার অন্য প্রস্তুতি ম্যাচগুলো বাদ দিলেও মেসি নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপের আগে কমপক্ষে ১৬টি ম্যাচ খেলবেন। এর মধ্যে ১৫টি ইন্টার মায়ামির হয়ে এবং ১টি আর্জেন্টিনার হয়ে। বিশ্বকাপ শুরু হবে ১১ জুন ২০২৬ তারিখ থেকে।
২০২৬ সালে ইন্টার মায়ামির সবচেয়ে বড় ঘটনা হবে ‘৪ এপ্রিল’ মায়ামি ফ্রিডম পার্কের উদ্বোধন। ওই দিন টানা পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচ শেষে ঘরে ফিরে অস্টিনের বিপক্ষে খেলবে ইন্টার মায়ামি, এবং নতুন স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হবে ওই ম্যাচেই।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত হবে ২০ সেপ্টেম্বর, যেদিন এমএলএসের নতুন সদস্য সান দিয়েগোর বিপক্ষে খেলবে ইন্টার মায়ামি। লিগ কর্তৃপক্ষ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা আর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট-সংক্রান্ত বিরতির সময়সূচিও জানিয়ে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে—এই সময়ে ইন্টার মায়ামি খেলবে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে।
এদিকে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও (এএফএ) বিশ্বকাপের আগে তাদের সম্ভাব্য ম্যাচগুলোর তারিখ জেনে গেছে। ২৩ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে স্পেনের বিপক্ষে হবে ফাইনালিসিমা, সম্ভাব্য ভেন্যু লুসাইল। আর জুনের প্রথম সপ্তাহে ১১ জুনের প্রথম ম্যাচের আগে এক-দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ম্যাচ রাখার কথা রয়েছে। বিশ্বকাপের ড্র হবে ৫ ডিসেম্বর।
আপাতত আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সব মনোযোগ এমএলএস কনফারেন্সে। সিনসিনাটির বিপক্ষে আজ ভোরে হয়ে যাওয়া সেমিফাইনালে যদি মায়ামি জিতে গিয়ে থাকে, তাহলে খেলবে ২৯ নভেম্বরের ফাইনালে। সেটাও জিততে পারলে ৬ ডিসেম্বর খেলবে এমএলএস কাপের ফাইনালে।
এছাড়া এপ্রিল মাসটা ইন্টার মায়ামির বেশ ব্যস্ততায় কাটবে। পরপর দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে তারা ১৮ এপ্রিল কলোরাডো এবং ২২ এপ্রিল উটাহ যাবে। এই দুটি মাঠই বেশ উঁচুতে এবং সেখানকার আবহাওয়া খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে।
এফপি/অ