দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদন কারী জেলা জয়পুরহাট। আলু উৎপাদনে এ জেলা শীর্ষ অবস্থানে থাকায় রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই করে আগাম আলুর বীজ রোপন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষীরা।
রোপা আমন ধান কাটা শেষ করে জমিতে হালচাষ ও সার ছিটানোসহ জমি প্রস্তুত করে আলু লাগাতে ব্যস্ত প্রন্তিক কৃষকরা। তবে বিগত বছরের মতো এ বছরেও রাসায়নিক সার সংকটে ভুগছেন সাধারণ কৃষকরা। সংকটকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের বেশি দাম নিচ্ছেন। গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হওয়ার পর আলুর দাম পাননি কৃষকরা। এ অবস্থায় লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আবার আলু চাষের স্বপ্ন বুনছে কৃষক, তবে সার সংকট হওয়ায় চিন্তায় পরেছেন আলু চাষীরা।
আলু চাষীরা সার সংকটের অভিযোগ করে বলেন, আমরা বেশি দাম দিয়েও সার পাচ্ছি না। বীজ প্রস্তুত, জমি তৈরি সবকিছুই আটকে আছে সারের জন্য। এভাবে চললে আলু চাষে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বো।
এ বিষয়ে সার ডিলারদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কাছে বরাদ্দ হওয়া সারের চেয়ে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম। তবে বরাদ্দ বেশি দিলে এ সমস্যা সমাধান হবে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ একেএম সাদিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরে আলু উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকরা দাম পায়নি তাই সরকার জয়পুরহাট জেলায় এ বছর ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এবছর আগাম আলু চাষে পাঁচ হাজার হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বৃষ্টির কারণে মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হয়েছে। আশা করছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।
সার সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী কোনো সার সংকট নাই এবং সার সিন্ডিকেট করার সুযোগ নাই। খুচরা বিক্রেতারা কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা করছে, তবে প্রোপার মনিটরিং চলছে যাতে কৃষকেরা কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়।
এফপি/অ