ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে মোশারফ হোসেন (৩৭) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৮জন। নিহত মোশারফ ঝিনাইদহ জজকোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসাবে কর্মরত ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের খাবির মণ্ডলের ছেলে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মসভায় অতিথি করা নিয়ে সোমবার রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দলু ও সাঈদ মোল্লা গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর মঙ্গলবার ভোরে হরিনাকুন্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের বিএনপি নেতা দলু মণ্ডল গ্রুপের বিএনপি কর্মী নাসির হোসেন ও মোশারফ হোসেন একসাথে বাড়ির পাশ্ববর্তী জমিতে কলা কাটতে যায়। সেসময় পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বিএনপি নেতা সাঈদ মোল্লা গ্রুপের প্রধান সাঈদের নেতৃত্বে বিএনপির সমর্থক আকুল, বকুল তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৯জন আহত হয়। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে বিএনপি কর্মী মোশারফকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন, হাকিমপুর গ্রামের খবির মণ্ডলের ছেলে নাসির উদ্দীন, হানেফ আলী, আব্দুল খালেক, বিলাত আলীর ছেলে আরব আলী, আব্দুল খালেকের ছেলে রবিণ, আব্দুস সোবাহানের ছেলে কাওছার মণ্ডল ও তার ভাই আব্দুল আলীমসহ ৮জন। এদের মধ্যে নিহতের বড়ভাই নাসিরের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপরে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এমএ রউফ খান জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এফপি/এমআই