কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ বাজারের ভন পুকুরসংলগ্ন ব্রাহ্মণ্য পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬ পরিবারের ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে অসাবধানতা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার খবর পেয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাহ্য পদার্থ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের বাড়িঘর মুহূর্তের মধ্যেই আগুনে ঘিরে যায়। এতে বাদল শীলের ছেলে বলরাম শীল ও তপন শীল, সারদা শীলের ছেলে সেন্টু শীল এবং সেন্টু শীলের ছেলে জনি শীল, ললীত শীলের ছেলে রবি শীল এবং সৌরভ শীল এর পরিবারের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডে মোট ৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,এর মধ্যে সেমিপাকা ২টি, আধাকাঁচা ১টি ।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, আগুনে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সৌরভ শীল জানান, তিনি কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। বাড়িতে তার সঞ্চিত নগদ ২ লাখ টাকা ও মূল্যবান স্বর্ণালংকার ছিল। আগুনে সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় তিনি সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে গেছেন। হঠাৎ এমন ক্ষতি মেনে নেওয়া কঠিন বলে তিনি জানান।
কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমদ বলেন, “ আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে অসাবধানতা থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ঘরগুলো কাঁচা ও সেমিপাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতা এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে এলাকা রক্ষা পেয়েছে।”
ঘটনার পর কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে আগুন নেভানোর সময় পাশের দোকান থেকে মালামাল সরানোর সুযোগে চুরির ঘটনাও ঘটেছে। টিআইকে টেইলারিংয়ের মালিক ফরিদের ছেলে তাফসির অভিযোগ করেন, তার দোকান থেকে অন্তত ৫০ হাজার টাকার বেশি মালামাল চুরি হয়ে গেছে।
এফপি/জেএস