মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক প্রেমিকা। ঘটনায় সাথে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি সদর উপজেলার রাজাপুর মাঠে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটে।
গ্রেপ্তার দুই ধর্ষক হলেন, রাজাপুর গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, জুমাত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম এবং আরেক ধর্ষক নজরুল ইসলামের ছেলে মিনারুল পালাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে দুই আসামিকে সদর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত দুই ধর্ষককে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকালে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী তার প্রেমিক সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রের সাথে মোটরসাইকেল করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। পরে সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মাঠের রাস্তা দিয়ে আসার সময় তিন যুবক তাদের পথরোধ করে। এসময় তারা ওদের দু'জনকে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা প্রেমিকের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ইউপি সদস্য চঞ্চলের ভাটার পিছনে আম বাগানে নিয়ে যায়। এসময় তারা প্রেমিকের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে তাদের দু'জনকে বিবস্ত্র করে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন।
এসময় প্রেমিক তার প্রেমিকাকে তিন যুবকের কাছে রেখে টাকা নিতে মেহেরপুর শহরে আসেন। টাকা নিয়ে ফিরে গিয়ে দেখেন তার প্রেমিকা কান্নাকাটি করছে। পরে প্রেমিকা জানান তাকে জোর করে তিনজন ধর্ষণ করে। এসময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রেমিক তখন পরিস্থিতি খারাপ দেখে গ্রামবাসীসহ তার বন্ধুদের খবর দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়।
পরে ধর্ষণের স্বীকার প্রেমিকা নিজে বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিন যুবককে আসামী করা হয়।
সদর থানার ওসি অপারেশন জাহাঙ্গীর সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই মামলার আমি তদন্তাকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছি। ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পালাতক আসামি কে আটকে পুলিশ অভিযান চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এফপি/জেএস