নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লক ডাউন ডাকা হয়েছিল আজ ১৩ নভেম্বর । তবে গতকাল থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আইনশৃংখলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে জেলার প্রতিটি কোনায় অবস্থান করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা বিভাগের নজরদারিতে রয়েছে পর্যটন শহর।
কক্সবাজার জেলা বিএনপি অফিসে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বিএনপি অফিসের সামনে দায়িত্বে থাকা মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টও সুমন সরকার জানান, ভোর থেকে রাত অবধি আমাদের কড়া নিরাপত্তা থাকবে। গতকালও ছিলাম আজও আছি। এদিকে ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজার জেলাজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলার ২৮টি স্থানে তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার শহরসহ জেলার সব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট, টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চলাচল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক প্রচারও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’
জনগণের জানমাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সার্জন রোবায়েত হোসেন বলেন, ‘১৩ নভেম্বরকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে কোনো নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর সামগ্রী বহন করতে না পারে। প্রয়োজনে সন্দেহভাজন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়া প্রতিটি গাড়ি নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থাও মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি, সৈকতের শহর কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি দপ্তর, পরিবহন টার্মিনাল ও পর্যটন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ডাকা লক ডাউনের ফলে পর্যটন এলাকায় কিছু পর্যটক কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যানবাহন চলাচল রয়েছে বলে জানা যায়।
এফপি/অ