পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ডাকাতের সন্দেহে মোঃ আলী হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রোববার সন্ধ্যার দিকে বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় অভিযোগ পরিবারের।
নিহত মোঃ আলী হোসেন (৩৮) শিয়ালকাঠী এলাকার হাকিম হাওলাদারের পুত্র। তিনি পেশা একজন অটোচালক। নিহত আলী হোসেন পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয়। গ্রামের বাড়িতে তিনি এবং তার স্ত্রী থাকতেন। অন্য ভাইয়েরা ঢাকায় থাকেন, এবং মা-বাবা অন্যান্য ভাই ও বোনের সঙ্গে থাকেন।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার জানান, আলী হোসেন এবং সে অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকত না। রোববার সকালে তার স্বামী ও ভাই সোলায়মানসহ তারা তিনজনে বাড়িতে আসেন। রাতেই তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাদের বাড়ির সামনে এসে “ডাকাত” বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘরের বাইরে বের হলে তাকে ধরে ঘরের পাশে একটি সুপারি বাগানে নিয়ে নির্মমভাবে মারধোর করা হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় যেখানে সোমবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান।
সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় রোববার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
এফপি/অআ