কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক বিএনপি নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট এবং তার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত বিএনপি নেতার ভাই দুলাল শেখ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহত ওই নেতার নাম মোঃ রাশিদুল জাম্মান (৫৫)। তিনি কয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাত, মুখ, পিঠ, এবং পায়ের মাংস পেশিতে আঘাতের ক্ষত দেখা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিদুল জাম্মান জানান, কালোয়া বাজারে তার একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। প্রতিপক্ষের বিএনপি নেতাদের ছাত্রছায়ায় কয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের ভাই সোহেল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিন্টু খন্দকার, আওয়ামী লীগ সমর্থক মোঃ ইয়ারুলসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে এবং কার্যালয় ভাঙচুর করে। সুষ্ঠু বিচারের আশায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পক্ষ। 
কয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ওলি জোয়ার্দার ফোনে বলেন, তিনি বিএনপির দুই গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলার খবর শুনেছেন। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত নয়।
অন্যদিকে, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য বকুল হোসেনও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অন্য এলাকা থেকে এসে রাশিদুল বাজারের শান্তি নষ্ট করছেন। তার দাবি, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি, বরং রাশিদুল নিজেই ছবি খুলে নিয়ে চলে গেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালোয়া বাজারে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের একটি বিএনপির কার্যালয় থাকলেও সম্প্রতি রাশিদুল জাম্মান আরেকটি কার্যালয় খোলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। একপর্যায়ে শনিবার রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তবে স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্তদের অনেকে ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে চললেও বর্তমানে তারা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সঙ্গে যুক্ত।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, এটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আহত বিএনপি নেতার ভাই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এফপি/অআ