সিলেটের ওসমানীনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা আর প্রস্তুতির ব্যস্ততা। পূজা মণ্ডপগুলোতে এখন কর্মচাঞ্চল্যে মুখর সময় পার করছেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজা, আর ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের শারদোৎসব।
এবছর ওসমানীনগর উপজেলায় মোট ৪০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩১টি সার্বজনীন ও ৯টি ব্যক্তিগত মণ্ডপ। সার্বজনীন মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা সাজানোর কাজ, মণ্ডপ সাজানোর প্রতিযোগিতা এবং ভক্ত-দর্শনার্থীদের আনাগোনা। স্থানীয়দের মতে, এই উৎসব কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়; এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও মিলনেরও এক অনন্য উপলক্ষ।
গ্রামাঞ্চলের পূজা মণ্ডপগুলোতে উৎসবকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হচ্ছে প্রাণবন্ত পরিবেশ। ঘরে ঘরে চলছে রান্নাবান্নার প্রস্তুতি, নারীরা ব্যস্ত পূজার আয়োজন আর তরুণ-তরুণীরা অংশ নিচ্ছেন মণ্ডপ সাজানোর কাজে। শহরে থাকা স্বজনদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, ফলে গ্রামীণ মণ্ডপগুলোতে ভিড় জমবে অসংখ্য দর্শনার্থীর।
উৎসবকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার বাহিনী ছাড়াও প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল। পূজা চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দেবে সেনাবাহিনীও।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। আয়োজকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তিনি সার্বিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ওসমানীনগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শংকর সেন বলেন,শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি সামাজিক সৌহার্দ্য ও মিলনের উৎসব। ইতোমধ্যে সব মণ্ডপের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ভক্ত ও দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে দেবী দর্শন করতে পারবেন। এবার আমরা ভাবগাম্ভীর্য আর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপন করতে চাই।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন,দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আমরা সর্বদা সতর্ক আছি।
এফপি/অআ