Dhaka, Saturday | 6 September 2025
         
English Edition
   
Epaper | Saturday | 6 September 2025 | English
মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
অটোরিকশায় ভর করে চলে সংগ্রামী রাহিমার জীবন-সংসার
মৎস্য খাতে এ দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো: ফরিদা আখতার
তানোরে মহানগর ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ, ২ লাখ টাকা জরিমানা
শিরোনাম:

পবায় খানকা ভাঙচুর করল কথিত ‘ক্ষুব্ধ জনতা’, দাঁড়িয়ে দেখলেন ওসি

প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৬ পিএম  (ভিজিটর : ১১)

রাজশাহীর পবা উপজেলায় কথিত ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’ একটি খানকা শরীফ ভাঙচুর করেছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর দেড় শতাধিক মুসল্লি মসজিদ থেকে বেরিয়ে খানকা শরীফে যান এবং সেটি ভাঙচুর করেন। পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খানকা শরীফটির নাম ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরীফ’। এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান ভান্ডারী প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির পাশে নিজের জায়গাতেই এই খানকা শরীফ করেন। তিনি তাঁর ভক্তদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত।

এ খানকায় প্রতিবছর ঈদে মিল্লাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়। এবার বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনের আয়োজন ছিল। সেখানে নারী শিল্পীরা আসছিলেন। ভান্ডারী ও মুর্শিদী গান হচ্ছিল। তা নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর হামলার শঙ্কায় দুই গাড়ি পুলিশ নিয়ে ছিলেন পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। তবে হামলার সময় পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়। উত্তেজিত জনতার কাউকে বাঁধা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

হামলার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় দেড় শতাধিক মুসল্লি খানকা শরীফে আক্রমণ করেছেন। তারা টিন দিয়ে ঘেরা ওই খানকায় মুর্হুমুহু আঘাত করছেন। দূর থেকেই এর শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

এই হামলার সময় বাড়ি থেকে বের হননি খানকা শরীফের পীর আজিজুর রহমান ভান্ডারী। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই এলাকার কিছু লোক আমাদের অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছিল। অনুষ্ঠান বন্ধ করতে গতরাতে তারা পবা থানায় গিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে জানি না। জুমার নামাজের পর তারা একত্রিত হয়ে খানকা শরীফে হামলা চালায়। ভক্তরা আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। তাই তারা আমার বাড়ি লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে।’

তবে থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন পীর আজিজুর রহমান ভান্ডারী। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ছিল, ডিবি ছিল, ওসি নিজেই ছিলেন। সেখানে তারা রক্ষা করেন না, অভিযোগ করব কার কাছে?’

তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ করব না। আমি মানবধর্ম করি, আমার কাছে সবাই আসে। সবাইকে মাফ করে দিলাম। আল্লাহও যেন তাদের মাফ করে দেন। তারা ভেঙে খুশি হয়েছে, হোক।’

পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অনেক মানুষই এসেছিল খানকার বিষয়ে। আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছিলাম। তারপরও একটু উৎকণ্ঠা থাকায় পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ একটু দূরেই ছিল। তখনই উত্তেজিত জনতা এটা করে ফেলে। মানুষ এত বেশি, অল্প কয়েকজন পুলিশের কিছু করার ছিল না। এখন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝