দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সরকারি ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনামূল্যে ওষুধের সুবিধা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস-সহ সাধারণ রোগের ওষুধের চাহিদা বেশি থাকলেও সরকারি সরবরাহ না থাকায় স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধ্য হচ্ছেন প্রেসক্রিপশন দিয়ে রোগীদের বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিতে পরামর্শ দিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, সরকারি ওষুধ না থাকায় রোগীরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু হাতে কিছু দেওয়ার না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অপরদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ- গ্রামীণ মানুষের জন্য স্থাপিত এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ বাজার থেকে ওষুধ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচের বোঝা বইছেন।
দ্রুত সরকারি ওষুধ সরবরাহ পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন ঘোড়াঘাটের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের মৌলিক অধিকার, যা বন্ধ থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন (মেহেদী) বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে যে ওষুধ গুলো সাপলাই দেওয়া হয়, এই ওষুধ গুলো CBIC-র মাধ্যমে EDCL তিন থেকে চার মাস পরপর তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবাহ করে। এখন EDCL ওষুধ গুলো সরবাহ না করার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে ওষুধের সল্পতা দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।
এফপি/রাজ