Dhaka, Thursday | 4 September 2025
         
English Edition
   
Epaper | Thursday | 4 September 2025 | English
জাতির সেবায় আনসার-ভিডিপির ৬০ লাখ সদস্য সবসময় প্রস্তুত: মহাপরিচালক
বেবিচক চেয়ারম্যানের সাথে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
লোহাগাড়া দরবেশ হাট ডিসি সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ফুলকোর্টে শুনানি আজ
শিরোনাম:

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের কাজ

প্রকাশ: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৪০ পিএম  (ভিজিটর : ৬৭)

কক্সবাজার ও বান্দরবান দুই জেলার ভিতর দিয়ে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই সড়কের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। বিগত ১যুগ আগে কিছু উন্নয়ন হলেও এরপর কোন কাজ হয়নি। যার কারণে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চরাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপরেও জীবনের তাগিদে রামু -কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় যার কারণে এই সড়কটি ব্যবহার করেত হয় বিকল্প কোন সড়ক না থাকার কারণে।

তবে এই বছরে এই সড়কের কাজের আশার বাণী শুনিয়েছেন বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  মো: সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি জানান, একনেক থেকে এই সড়কের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে ২৪২ কোটি টাকা। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবে আগামী অক্টোবর মাসে দরপত্র আহবান করা হবে এবং টেন্ডারের মাধ্যমে যে ছিকাদার কাজ পাবে তাকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আগামী বছরের ফ্রেরুয়ারি মাসে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরো জানান এই সড়কটি বর্তমানে ছোট। তাই যানবাহন চলাচল করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই সড়কটি ১৮ ফিট প্রশস্ত করা হবে এবং বাস দাঁড়ানোর বাস স্টপ ও যাত্রী ছাউনি করা হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য সড়কের পরেও কাজ করে পথযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করে দেওয়া হবে। আর এই পুরো কাজ বাস্তবায়ন হবে বিশ্বব্যাংকের অর্থয়নে।

তবে বর্তমান চিত্র যদি তুলে ধরি, ১২ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগই খানাখন্দের কারণে বেশ কষ্ট পাচ্ছে যাতায়াতকারিরা। খানা-খন্দের মধ্যেই চলছে যানবাহন। সড়কের ৫টি বেইলি সেতুর মধ্যে একটির কাজ চলমান থাকলেও আরো ৪টি বেইলি সেতু বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে এই সড়ক দিয়েই চলছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গাড়ি। বলছি রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের কথা।

বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগ এর অধীনে এ সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রস্থ। এই সড়ক দিয়ে পূরবী বাস গাড়ি, বড় কাঠ বহনকারী ট্রাক এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সদস্যের খাদ্য অন্যান্য সরঞ্জামসহ তাঁদের অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নে ব্যবহৃত কার্ভার্ড ভ্যানের প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুট। অপরদিকে দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ির চওড়াও সাড়ে ৮ ফুট। এমন দুইটি গাড়ি মুখোমুখি হলে যানজট থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। দুই চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় মানুষের পায়ে হাটাও মুশকিল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে পুরো সড়কের একাধিক স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বেইলি সেতু ৩টিও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এই সড়কটি সম্প্রসারণ করে সেতুগুলো নতুনভাবে নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।

অবশেষে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর পর উদ্যোগ নিলো সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)। বান্দরবান সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের উন্নয়ন ও নতুন করে ৩টি সেতু নির্মাণের জন্য ২৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে সম্প্রতি পাশ হয়েছে। একনেকে পাশ হওয়া ৮৯০ কোটি টাকার মধ্যে বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের তিনটি সড়কের উন্নয়ন হবে। যার একটি রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। শীঘ্রই পরামর্শক সরেজমিন কাজ শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেছেন- বিজিবি জোয়ানরা বিভিন্ন অপারেশনে তাদের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তাই তিনিও সড়কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জোর সুপারিশ করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ জানান, এই সড়কটির উন্নয়ন হলে আশপাশের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এটা অত্যাধিক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটির উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসছে।

রামু উপজেলা জামায়াতের আমীর ফয়জুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান জানান, বেহাল সড়কটির জন্য প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ার শত শত কৃষকের পণ্য পরিবহনের প্রধান সড়কও এটি।

এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, দোছড়ি, বাইশারী ও সোনাইছড়িসহ ৬ ইউনিয়নের মানুষ। এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৪০ হাজারের বেশি। বিশেষ করে রামুর খাদ্য-শস্য ভাণ্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন সহ সীমান্তের ৬টি ইউনিয়নের উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আনা-নেয়ায় ব্যবহার হচ্ছে রামু–নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। জনসাধারণের কষ্ট লাগবে দ্রুত সড়কটি প্রশস্থকরণসহ সংস্কার জরুরি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী   জানান, এই সড়কের জন্য দুই পার্বত্য এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার মানুষ বেশ যাতায়াতে বেশ কষ্ট পাচ্ছে আশা করবো সড়কের কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝