সৌদিআরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নামজুস সাকিব (২১) নামে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত সোমবার (১৮ আগস্ট) সৌদিআরবের সরকারি একটি হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বন্ধুর সাথে প্রাইভেটকারে ঘুরতে বের হলে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা নাজমুস সাকিবের বন্ধু মেহেদি হাসান (২১) আইসিউতে চিকিৎসাধীন। নিহত নাজমুস সাকিব জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের গুনারীতলা উত্তরপাড়া এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে। আহত মেহেদী একই ইউনিয়নের গুনারীতলা দিকপাড়া এলাকার তৌফিকুল ইসলামের ছেলে।
নাজমুস সাকিব ও মেহেদী দুজনে সম্পর্কে ক্লাসমেট বন্ধু। স্থানীয় গুনারীতলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে তারা এসএসসি পাশ করেন।
জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ২০২ ৪ সালের শুরুর দিকে অল্প বয়সেই সৌদিতে পাড়ি জমান নিহত নাজমুস সাকিব। সেখানে গিয়ে তিনি রিয়াদ শহরের একটি কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। এর কিছুদিন পর সেই কোম্পানি থেকে বের হয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। আহত মেহেদী এ বছরের জুলাই মাসের ২৬ তারিখে সৌদিআরবে যান। সেখানে সে ফুড ডেলিভারিম্যান এর কাজ শুরু করেন।
নিহত নাজমুস সাকিবের বড় ভাই রুবেল মিয়া জানান, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় প্রাইভেটকার করে ২ বন্ধু নাজমুস সাকিব ও মেহেদী ঘুরতে বের হয়। ঘুরাঘুরি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে তাদের প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা লাগলে নাজমুস সাকিব ও মেহেদী হাসান দুজনেই গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে আইসিউতে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (১৮ আগস্ট) নাজমুস সাকিব মারা যায়। নাজমুস সাকিবের বন্ধু মেহেদী এখনো আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে নাজমুস সাকিবের মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নাজমুসের লাশ দ্রুত দেশে আনার দাবি পরিবার ও স্বজনদের।
নাজমুসের বড় ভাই রুবেল মিয়া বলেন, নাজমুস আমার আদরের ছোট ভাই। তার লাশটি যেন দ্রুত দেশে পাঠায় আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ নাদির বলেন, প্রায় শুনা যাচ্ছে প্রবাসের মাটিতে মৃত্যুর খবর। নাজমুস সাকিবের লাশ দেশে আনার ব্যাপারে যদি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে।
এফপি/রাজ