ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সরকারি পশু পালন কল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও পশু কল্যাণ কেন্দ্রের একটি কক্ষ খুলে সেখানে চলছে নতুন খাট পালঙ্কসহ আসবাবপত্র রং করার কাজ। উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা পশু পালন কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রায়ই বন্ধ থাকে যার ফলে অত্র ইউনিয়নের গৃহপালিত পশুর মালিকগণ তাদের গৃহপালিত পশুর কোন অসুখ হলে বা পশুপালনের জন্য কোন সঠিক পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর অসুখ হলে কোলা ইউনিয়ন থেকে ১০/১২ কিলোমিটার দূরে কালীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ অফিসে নিয়ে যেতে হয় চিকিৎসা নিতে। অথবা কোন গ্রাম্য পশু চিকিৎসককে অধিক টাকা দিয়ে পালিত পশুকে চিকিৎসা দিতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় অদক্ষ গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হন পশু মালিকগণ।
কোলা ইউনিয়ন পশু পালন কল্যাণ কেন্দ্রটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারি তদারকির অভাবে কেন্দ্রটি থেকে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন পশু মালিকগণ।
গত সোমবার পশু পালন কল্যাণ কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্রটি বন্ধ আছে কিন্তু সরকারি আফিসের একটি কক্ষ খুলে সেখানে খাট পালঙ্ক সহ আসবাবপত্র রং করার কাজ করছেন নিখিল কুমার নামের এক কাঠ মিস্ত্রি।
নিখিল তোমার জানান, তিনি ৪/৫দিন যাবত সেখানে কাজ করলেও একদিনও অফিস খুলতে দেখেননি। স্থানীয় সোবহান মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নতুন খাট রং করার কাজ করছেন তিনি। নিখিল কুমার আরও জানান,সড়াবাড়িয়ার পশু চিকিৎসক কবির তাদের এই ঘরটি খুলে দিয়ে গেছেন। একটা সরকারি অফিসে কিভাবে ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় এই নিয়ে স্থানীয়দের প্রশ্ন।
উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পশু পালন কল্যাণ কেন্দ্রেটির দায়ীত্বে থাকা সড়াবাড়িয়া প্রামের পশু চিকিৎসক কবির জানান, এই বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিন্নু রাইন বলেন আমাদের জনবল কম থাকায় কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। আমি গতসপ্তাহে কোলা পশু পালন কল্যাণ কেন্দ্রেটি পরিদর্শন করে এসেছি। সবরুম গুলাতে তালা দেওয়া ছিলো। তালা খুলে কিভাবে তারা সরকারি অফিসে কাজ করছে এটা আমি কেন্দ্রেটির দায়িত্বে থাকা কবিরের সাথে কথা বলে দেখছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল আলম জানান, সরকারি অফিস ব্যক্তিগতকাজে ব্যবহার করার নিয়ম নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রাণী সম্পদ অফিসারের সাথে কথা বলে দেখছি।
এফপি/রাজ