শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে; সম্পৃক্ত না থেকে স্বাধীনতার পর ১০ জানুয়ারি ক্ষমতা দখল করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেছেন, শহীদ জিয়া এমন ব্যক্তি যিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তান পরিবার রেখে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণার দেওয়ার কথাতো ছিলো শেখ মুজিবের। তিনি কারাগারের নামে সেদিন তিনি পাকিস্তানে ছিলেন।
সোমবার বিকালে খুলনার মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা মহানগর ও জেলা কমিটির ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ পরবর্তী শোভাযাত্রা কর্মসূচি থাকলেও জনদুর্ভোগ বিবেচনায় সেটি বাতিল করা হয়। এছাড়া কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে পরিস্কার-পরিছন্নতা কাজ করেন।
শামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, “এই দলকে (বিএনপি) শেখ হাসিনা নির্যাতন করেছে, নিপীড়ন করেছে, হয়রানি করেছে; প্রায় ১০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে। যে মুজিব যেমন ৭২-৭৫ সালে ৪০-৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল। দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল। বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। আর শহীদ জিয়া ৭ নভেম্বরে সিপাহী-জনতার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি এদেশকে বিশ্বে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, “ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। এমন কোন শক্তি নেই যে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। বাংলাদেশের মাটিতে আর কোন ষড়যন্ত্র হতে দেবো না। বাংলাদেশের মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে জয়ী হবে বিএনপি। বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানকে চায়। এজন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রতিবেশী দেশে হত্যাকারী-লুটেরা স্থান নিয়েছে। এজন্য আমরা যে যেখানেই আছি না কেন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশ প্রধান বক্তা ছিলেন- বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিশেষ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, রেহেনা ঈসা, সৈয়দা নার্গিস আলী, অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ সাকিব রায়হানের বাবা আজিজুর রহমান, যুবদল নেতা ইবাদুল হক রুবায়েত, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রনু, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন নগর সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মাসুদ পারভেজ বাবু।
এর আগে মহানগর ও জেলা বিএনপি ও অন্তর্গত সকল স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিকে আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা বিএনপির মঞ্জু গ্রুপ সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপি অফিসের সামনে সমাবেশ ও মিছিল করে। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সংগটনের এই অংশটি তিনদিনের কর্মসূচি পাল করছে।
এফপি/রাজ